০১
সুদৃঢ় বিষন্নতা
মগজ-ভ্রান্তি
অফুরান অতৃপ্তি।
০২
অনিমেষ মুগ্ধতা
চোখের ভাষা
অনুভূতির দিশা।
০৩
নান্দনিক যৌনতা
শৈল্পিক দ্যুতি
প্রশান্তি দিবারাতি।
০৪
অনুভূতি প্রকাশ
শব্দ নির্মাণ
কাব্যিক মন-প্রাণ।
০৫
চিন্তনে জ্ঞানমোহ
মুক্তির পণ
আলোময় জীবন।
০৬
উত্তপ্ত প্রভাকর
তপ্ত ধরণী
বর্ষণে প্রশান্তি।
০৭
অবিনশ্বর প্রেম
নির্মোহ মন
জীবন্ত সর্বক্ষণ।
০৮
অপরূপ নীলিমা
গোধূলী বেলা
দিগন্তজোড়া খেলা।
০৯
অযাচিত বিনয়
বিপন্ন সত্ত্বা
ব্যক্তিত্বের জড়তা!
১০
প্রতিশ্রুতি খেলাপ
আত্মদহন
বোধের উন্মোচন।
টীকা:
পরমাণুকাব্য :
তিন লাইনের অতিক্ষুদ্র কবিতা পরমাণুকাব্য। তিন চরণে ১৯ মাত্রায় সৃষ্ট এ নতুন ধারার কবিতায় থাকে পূর্ণ এক ভাব।
বৈশিষ্ট্যগতভাবে পরমাণুর গঠনরীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এ কবিতা। পরমাণুর ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন ও ধনাত্মক চার্জযুক্ত প্রোটন সংখ্যার ভেতরে যেমন সমতা থাকে; তেমনি পরমাণুকাব্য প্রথম ও তৃতীয় লাইনে সমান সংখ্যক ৭ মাত্রা ধারণ করে আর দ্বিতীয় লাইনে থাকে ৫ মাত্রা। পরমাণুর কেন্দ্র নিউক্লিয়াসে যেমন নিউট্রন ও প্রোটন মিলেমিশে থাকে তেমনি পরমাণুকাব্যের প্রথম দুটি লাইন থাকে অঙ্গাঙ্গিভাবে মিশে।
এ কাব্যে প্রথম লাইনে কোনো সমস্যাকে তুলে ধরা হয় অথবা নির্দিষ্ট ভাবের অবতারণা করা হয়। দ্বিতীয় লাইনে প্রকাশিত ভাবনার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য থাকে আর তৃতীয় লাইন মূলত প্রথম দুই লাইনের সাথে সংযোগ স্থাপন করে প্রকাশিত সমস্যা হতে উত্তরণের পথনির্দেশ করে অথবা ভাবের পরিণতি ঘটায়। এটি মূলত এক ধরনের চিন্তাপ্রবণ কবিতা যা বিভিন্ন সমস্যা ও তা থেকে উত্তরণের পথকে তুলে ধরে।
খান নাইম/দুর্বার